মতিহার বার্তা ডেস্ক : প্রধান মন্ত্রীর উক্তি “ বহিরাগত দলের লোক দিয়ে আ’লীগ দল ভারি করার প্রয়োজন নেই” কিন্ত তার বাস্তবায়ন হয়েছি কি? ওই নির্দেশনা পালন না করে রাজশাহীসহ দেশের জেলা ও উপজেলায় আ’লীগের অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি, সম্পাদকসহ নানা পদ দখল করে আছে বিএনপি’র অনেক দলীয় সমর্থকরা।
বিগত কয়েক বছরের ইতিহাসে আ’লীগের সমর্থক বা দলের সাথে সম্পৃক্ত আছে এমন কাউকে সংগঠনের নেতৃত্ব দেয়া হচ্ছে না। আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন এর পদ নিয়ে নবনিযুক্ত নেতারা তাদের নিজ ব্যবসা বানিজ্য নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। সুযোগ সন্ধানী অন্য দলের সমর্থকদের নুন্যতম ৩ বছর আ’লীগের সাথে তাদের সক্ষ্যতা প্রমান করতে হবে। প্রবীন আ’লীগ নেতাদের মতে দল পরিবর্তন করে আসতে পারে কিন্ত সেটা এক বারের জন্য প্রযোজ্য।
রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলাসহ বিভিন্ন আ’লীগ অঙ্গ সংগঠনে সাথে বিএনপির অনেক সদস্য যুক্ত আছে। যাদের মধ্যে অনেকে আবার সভাপতি ও সম্পাদক পদে দখল করে আছে। কারণ একটি ওই নবাগত নেতার আর্থিক স্বচ্ছলতা আছে। কিন্ত তার পরিবর্তে স্থানীয় পর্যায়ের সাধারণ জনগনের কি সুফল আসছে নাকি উল্টো গরীবের সরকারী বরাদ্দকৃত ভাতার রাজনীতি করছে। এক সুতাই অনিয়মের মালা গেথে পুরাতন ও নতুন মিলে জনগনের জমিতে চাষ করছে। তৃণমূল যখন সন্তুষ্ট নয় তখন রাজনীতির অবস্থান কোথায়।
প্রতিটি দলের ছাত্র রাজনীতিকে কেন্দ্র করেই দলের ভিত্তি মজবুত ধরা হয়। কিন্ত ওই ছাত্র নেতা কি মেধাবি বা সু-শিক্ষায় শিক্ষিত কি না, তা যাচায় করা হয় না। যে ছাত্র হুঙ্কার দিয়ে জনগনের পথ রোধ, দেশের সম্পদ বিনিষ্ট করাসহ নানা অপকর্ম করছে, সে হচ্ছে নেতা। একই চক্রে জেলা ও উপজেলার কমিটির সভাপতি, সম্পাদকসহ বিভিন্ন গুরত্বপূন্য পদে ভাল মানের নেতা আসতে পারছে না। এই প্রক্রিয়ায় যে কোন দল, দেশ ও জাতির উন্নয়ন সফল হয়না। আর তখনি চলে দল বদলের খেলা, সৃষ্টি হয় অনিয়ম ও দূর্নীতির। খবর সময়ের কন্ঠস্বর
মতিহার বার্তা ডট কম ২৬ মেপ্টেম্বর ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.